এবার ২৫ শতাংশে শতভাগ পারফরম্যান্স, মাঠেও বিপ্লব তাসকিনদের
- আপডেট সময় : ০৫:১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ ২ বার পড়া হয়েছে
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে রেডিসন হোটেল থেকে বের হলেন পরিচালক আকরাম খান, মঞ্জুর আলমকে নিয়ে। আকরামের কাছে জানা গেল, রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন তারা। নিয়ম মেনে চলা ফারুকের হঠাৎ অনিয়ম করার কারণ কী? এর ব্যাখ্যাও দেন আকরাম, দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটারদের চুক্তির টাকা দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন বলে খেতে দেরি হয়েছে।
এদিন ফ্র্যাঞ্চাইজি ভ্যালেন্টাইন গ্রুপের মালিক টাকা নিয়ে চট্টগ্রামে না এলে গতকাল রাজশাহীর ক্রিকেটারদের সিলেটের বিপক্ষে মাঠে নামানোই কঠিন হয়ে যেত। অনুশীলন বয়কটের মধ্য দিয়ে বিসিবির দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজশাহীর খেলোয়াড়রা চুক্তির ২৫ শতাংশ টাকা অন্তত আদায় করে নিতে পেরেছে।
ম্যাচের আগে আংশিক সম্মানী পাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে টনিকের মতো কাজ করেছে। গতকাল সিলেটের বিপক্ষে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে ৬৫ রানে জিতেছে তারা। সাত ম্যাচের তিনটিতে জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে রাজশাহী। সিলেটের পয়েন্ট ৪।
তবে সিলেটের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পরও সম্মানীর বাকি টাকা পাওয়ার দুশ্চিন্তা কাটেনি। দলটির বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলামের কণ্ঠে সে হতাশার সুর বেজেছে সংবাদ সম্মেলনে, ‘দেখেন, পেমেন্ট আমাদের অবশ্যই প্রয়োজন ছিল। আর দেখবেন আজ আমরা চারজন বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে খেলেছি, মানে পুরো শক্তি।
আমাদের দল অনুযায়ী যতটুকু ভারসাম্য আনা যায়। সক্ষমতা অনুযায়ী আজ (গতকাল) আমরা মাঠে নামতে পেরেছি। আর সবাই নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পেরে ম্যাচ জিতেছি।’
মালিক পক্ষের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় টাকার অভাবে প্রথম থেকেই সমস্যায় ছিল রাজশাহী। জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্ল ছাড়া মানসম্পন্ন বিদেশি ক্রিকেটার আনতে পারেনি। লিগের প্রথম ম্যাচে তিন বিদেশি খেলালেও পরের পাঁচ ম্যাচে খেলেছে দু’জন করে।
গতকাল দলে যোগ দিয়েই মাঠে নেমেছেন দুজন– ওয়েস্ট ইন্ডিজের মার্ক ড্রেয়াল ও আফগানিস্তানের আফতাব আলম। সপ্তম ম্যাচে এসে চার বিদেশি নিয়ে খেলার সুযোগ পায়। যে দু’জন নতুন খেলেছে, তাদেরও ভালো মানের ক্রিকেটার বলতে পারবেন না। ক্রিকেটারদের চুক্তির টাকা দিতে দেরি করা, বিদেশি ক্রিকেটার আনতে না পারার মধ্যে আরও কিছু জিনিস চোখে পড়ার মতো।
রাজশাহী দল থেকে এখনও কিট ব্যাগও দেওয়া হয়নি খেলোয়াড়দের। খুঁজতে গেলে আরও হাজারটা খুঁত পাওয়া যাবে। সানজামুলের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, অনেক ঘাটতি আর অনিশ্চয়তা নিয়ে ম্যাচ খেলা কতটা কঠিন। দলের মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলে কিনা? উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটা তো অবশ্যই পড়ে। তবে যখন আমরা মাঠে চলে আসি, আমাদের তো সবকিছু ভুলেই আসতে হয়।
আমাদের কাজ তো পারফর্ম করা, মাঠে খেলা। চাপটা কমে গেছে আমরা ম্যাচের আগে পেমেন্টটা পেয়ে গেছি। এ জন্য আর আমাদের ওই চাপটা থাকেনি। তাই আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি।’